অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আগামীকাল চালু হতে যাওয়া রাজধানী তথা দেশের প্রথম মেট্রোরেলেরটিকিট নিয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা প্রকাশ করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়েছে, মেট্রোরেলে যাত্রা করার জন্য দুই ধরনের টিকিট বা পাস পাওয়া যাবে। এর মধ্যে একক যাত্রার টিকিট বা কার্ড স্টেশনের বাইরেও নেওয়া যাবে না। এটি স্টেশনের বাইরে বহন করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
একক যাত্রার টিকিট বা কার্ড : এই টিকিট বা কার্ড শুধু ক্রয়ের তারিখে একবারের জন্য ব্যবহার যোগ্য। প্রবেশ গেটে টিকিট স্পর্শ করানোর পর সর্বোচ্চ ১০০ মিনিট কার্যকর থাকবে। অনুমোদিত দূরত্ব বা সময়সীমা অতিক্রম করলে অতিরিক্ত ভাড়া প্রযোজ্য হবে।
টিকেট ভেন্ডিং মেশিন (টিভিএম) থেকে একবারে সর্বোচ্চ পাঁচটি টিকিট কেনা যাবে। হ্রাসকৃত মূল্যে বা ছাড়ে কেনা টিকিট কোনোক্রমেই হস্তান্তরযোগ্য নয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রস্থানের সময় টিকিট অবশ্যই বহির্গমন গেটের স্লটে প্রবেশ করাতে হবে। টিকিট কোনও অবস্থাতেই স্টেশনের বাইরে নেওয়া যাবে না। স্টেশনের বাইরে একক যাত্রার টিকিট বহন করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
তবে ক্রয়ের তারিখে অব্যবহৃত টিকিট কাউন্টারে জমা দিয়ে টাকা ফেরত নেওয়া যাবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এমআরটি পাস বা র্যাপিড পাস
মেট্রোরেলে একাধিকবার ভ্রমণের জন্য এমআরটি পাস বা র্যাপিড পাস ব্যবহার করা যাবে। একটি টিকিটে প্রতিবার শুধু একজন ভ্রমণ করতে পারবেন।
প্রতিটি পাসের মূল্য ধরা হয়েছে ৪০০ টাকা। তবে এর মধ্যে জামানত হিসেবে থাকবে ২০০ টাকা, যা ফেরতযোগ্য। আর বাকি ২০০ টাকা ভাড়া হিসেবে ব্যবহার্য। তবে যাত্রী চাইলে তার একাউন্টে ১০০ টাকা বা তার গুণিতক হারে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করতে পারবেন। টিকিট অফিস মেশিন (টিওএম) বা টিকিট ভেন্ডিং মেশিন (টিভিএম) থেকে পাস রিচার্জ করা যাবে।
তবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা নির্ধারিত কাউন্টার থেকেই একক যাত্রার টিকিট ও পাস কিনতে এবং রিচার্জ করতে পারবেন।
টিকিটে ছাড় : যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধারা বৈধ পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে বিনা ভাড়ায় ভ্রমণ করতে পারবেন। আর সবধরনের যাত্রীরা এমআরটি পাস বা র্যাপিড পাস ব্যবহার করে প্রতি যাত্রায় ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন। ৯০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উচ্চতার শিশু অভিভাবকের সঙ্গে বিনা ভাড়ায় ভ্রমণ করতে পারবে এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে একক যাত্রার টিকিটে ১৫ শতাংশ ছাড় পাবেন।
জামানত ফেরত : নিবন্ধিত পাস হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে গেলে পুনারায় ২০০ টাকা জামানত দিয়ে নতুন পাস সংগ্রহ করা যাবে। এক্ষেত্রে নতুন পাসে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আগের অব্যয়িত অর্থ স্থানান্তরিত হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নিবন্ধিত ও ব্যবহারযোগ্য পাস টিকিট কাউন্টারে ফেরত দিয়ে জামানত এবং অব্যয়িত অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে। এই ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াকরণ চার্জ প্রযোজ্য হবে। অনিবন্ধিত পাসের ক্ষেত্রে ফেরত প্রযোজ্য নয়।
পেইড এরিয়া এবং মেট্রো ট্রেনে টিকেট বা পাস ছাড়া কোনও যাত্রীয় পাওয়া গেলে মেট্রো লাইনের সর্বোচ্চ ভাড়া ও জরিমানা আদায় করা হবে বলেও নির্দেশনায় হুঁশিয়ার করা হয়েছে।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি (ডিএমটিসিএল) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক জানিয়েছেন, প্রথমদিকে মেট্রোরেল সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা চলবে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে চলাচলের পথে কোথায় থামবে না ট্রেন, বিরতিহীনভাবে চলবে।
তিনি আরও জানান, একবার ব্যবহারের টিকিট ও র্যাপিড পাস দুটোই ২৯ তারিখ পাওয়া যাবে।
সরকারের সাবেক এ সচিব বলেন, র্যাপিড পাস নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আমরা অনলাইনে ফরম ছেড়ে দেবো। অনেক মিসইউজ হতে পারে যেহেতু এটা ১০ বছরের জন্য। রেজিস্ট্রেশন করে আমাদের স্টেশনে থেকে কার্ড নিতে হবে।
জানা গেছে, প্রতি কিলোমিটার মেট্রোরেলের ভাড়া ৫ টাকা। একজন যাত্রীর জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা।
Leave a Reply